সিলেট-৪ আসনে নতুন সম্ভাবনার নাম অ্যাডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম

প্রকাশিত: ৪:১৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২৫

সিলেট-৪ আসনে নতুন সম্ভাবনার নাম অ্যাডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম

5

নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) আসন আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এ আসনের মানুষ নতুন নেতৃত্বের খোঁজে। তরুণ ভোটার ও নারী ভোটারের অংশগ্রহণ এবারের নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

7

 

জনপ্রিয় সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম দিলদার হোসেন সেলিম ২০০১-২০০৬ সময়কালে এলাকায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তার উদ্যোগে গ্রামীণ সড়ক ও অবকাঠামো সম্প্রসারণ হয়, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয়, স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটে এবং সীমান্ত এলাকার ব্যবসা ও বাজার সুবিধা সম্প্রসারিত হয়। তিনি ছিলেন জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত একজন প্রকৃত জননেতা। তাঁর নেতৃত্বে এলাকাবাসী প্রথমবার বুঝতে পারে উন্নয়ন মানে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তব পরিবর্তন। ভোটের মাঠে অনেক প্রার্থী তাঁর নাম ব্যবহার করে ভোট চাইছেন।

 

সাধারণ জনগণের কাছে দিলদার হোসেন সেলিম এক আবেগ। তিনি ছিলেন এমন একজন নেতা, যাঁর মৃত্যুর পরও তাঁর নাম উচ্চারণে মানুষের চোখ ভিজে ওঠে। নির্বাচনে দিলদার হোসেন সেলিমের ভোটব্যাংক এতটাই শক্তিশালী যে, সেটিই নির্ধারণ করবে সিলেট-৪ এর জন প্রতিনিধিত্ব কার হাতে যাবে। সাধারণ মানুষ এমপি সেলিমের নাম শুনেই ভোট দেয়। সাধারণ মানুষ দলীয় প্রার্থীকে নয়, দলমত নির্বিশেষে ব্যক্তি সেলিমকেই ভোট দিয়ে এসেছে। তাঁর মৃত্যুর পরও তারা সেলিম পরিবারের প্রতিই আস্থা রাখে।

 

6

তার জীবনসঙ্গী অ্যাডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম কেবল একজন উত্তরসূরি নন। তিনি একজন সম্মানিত আইনজীবী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সহ-সভাপতি ও কার্যকরী কমিটির সদস্য, এবং সিলেট জজ কোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (APP) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের সক্রিয় নেতৃত্বের অধিকারী। সিলেট জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা ও সাবেক এক নম্বর সদস্য, এবং সিলেট জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক নির্বাচিত সহ-সভাপতি হিসেবে তিনি রাজনীতি ও পেশাগত জীবনে সমানভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতায়ও অ্যাডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম রয়েছেন অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। তার ব্যক্তিগত সাফল্য তাকে শুধু পারিবারিক পরিচয়ে সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং একজন স্বতন্ত্র ও শিক্ষিত নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলেছে।

 

3

রাজনৈতিক কাজের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তিনি নজর কেড়েছেন। পশ্চিম জাফলং-এ একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে তিনি এলাকার অবহেলিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করেছেন। তিনি একইসঙ্গে প্রবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিলেটের প্রবাসী জনগোষ্ঠীকে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে তিনি স্বীকৃতি দেন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার ও নিরাপত্তাকে উন্নয়নের অপরিহার্য অংশ হিসেবে দেখেন।

 

সিলেট-৪ আসনের জনগণ এখন স্পষ্টভাবে স্থানীয় প্রার্থী চান। অতীতে বাইরের প্রার্থীদের নির্বাচনী উপস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী সম্পৃক্ততা তৈরি করতে পারেনি। ফলে ভোটারদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, জেবুন্নাহার সেলিমকে জনগণ একজন গ্রহণযোগ্য বিকল্প হিসেবে দেখছেন। তার পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে এলাকায় রাজনীতি ও সমাজসেবায় সক্রিয়, আর তিনি নিজেও আইনি লড়াই, সামাজিক কাজ ও জনগণের অধিকার রক্ষায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

 

আজ সিলেট-৪ আসনে ভোটারদের বড় অংশ তরুণ ও নারী। তরুণরা চান কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও আধুনিক উন্নয়ন। নারীরা চান স্বচ্ছ নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়নের সুযোগ। একইসঙ্গে প্রবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও চান একজন নেতা, যিনি তাদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় প্ল্যাটফর্মে তুলবেন। অ্যাডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম এই চার শ্রেণির কাছেই গ্রহণযোগ্য।

 

7

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মরহুম দিলদার হোসেন সেলিমের অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেওয়ার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে এবং নিজের শিক্ষা, সামাজিক কর্মকাণ্ড ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অ্যাডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম এখন সিলেট-৪ আসনের রাজনীতিতে একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন। তিনি কেবল একজন উত্তরসূরি নন, বরং শিক্ষিত, অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেতৃত্বের প্রতীক।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

sylhet24

Follow for More!

1
5