প্রকাশিত: ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫
ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ইয়েমেনি সাংবাদিকদের জানাজায় কফিন বহন করছেন সেনারা। ছবি- সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক সুরক্ষা বিষয়ক নজরদারি সংস্থা কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে ইয়েমেনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩১ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। এটি সংবাদমাধ্যমের ওপর দ্বিতীয় সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
হুথি-নিয়ন্ত্রিত উত্তর ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১০ সেপ্টেম্বরের ওই হামলায় একটি আবাসিক এলাকা, সামরিক সদরদপ্তর ও পেট্রোল পাম্প লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এতে অন্তত ৩৫ জন নিহত হন।
সিপিজে জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সরকারের নৈতিক নির্দেশিকা অধিদপ্তরের সদরদপ্তর। সেখানে দুটি গণমাধ্যম ২৬ সেপ্টেম্বর ও ইয়েমেন পেপারের কার্যালয় রয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর–এর প্রধান সম্পাদক নাসের আল খাদরি ঘটনাটিকে ‘সাংবাদিকদের ওপর নজিরবিহীন গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বিকেলে তাদের অফিসে সরাসরি হামলা চালানো হয়। দুটি সংবাদমাধ্যমই ইরান-সমর্থিত হুথিদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত, যারা গাজায় হামাস ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের দাবি জানিয়ে আসছে।
তবে রাষ্ট্রীয় বা সশস্ত্র গোষ্ঠী অনুমোদিত সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরাও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত, যদি না তারা সরাসরি যুদ্ধে জড়িত থাকে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, প্রায় দুই বছর আগে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সিপিজের আঞ্চলিক প্রোগ্রাম পরিচালক সারা কুদাহ বলেন, ইসরায়েল ‘সাংবাদিকদের আঞ্চলিক হত্যাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে’, এবং তাদের দীর্ঘদিনের প্রবণতা হলো সাংবাদিকদের ‘সন্ত্রাসী বা প্রচারক’ আখ্যা দিয়ে হত্যার ন্যায্যতা প্রমাণের চেষ্টা করা।
সিপিজের তথ্যমতে, ইয়েমেনে নিহত ৩১ জনের মধ্যে অন্তত ৯ জন পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন। বাকি গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে তদন্ত চলছে। তবে ইসরায়েল সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে এনবিসি নিউজের প্রশ্নে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, হুথিদের ‘জনসংযোগ বিভাগ’ আসলে প্রচার কার্যক্রম ও ‘মানসিক সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে। আইডিএফের দাবি, হুথিদের ড্রোন আক্রমণে দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রতিশোধ হিসেবে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, হুথিরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলার পর থেকে ইসরায়েলে নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। গাজা যুদ্ধের সময় এটি সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিপিজের রেকর্ড অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৯৩ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী, লেবাননে ছয়জন, ইরানে তিনজন এবং সর্বশেষ ইয়েমেনে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। সিপিজে বলছে, এটি ‘সাংবাদিকদের হত্যা ও নীরব করার সবচেয়ে মারাত্মক ও ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা’।
এ ঘটনায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্বকারী ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশনও ইসরায়েলের প্রতি ‘সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার জঘন্য অভ্যাস’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি রয়টার্সও জানিয়েছে, গাজায় তাদের দলের অবস্থান আর ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে না, কারণ এত বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
সাংবাদিকদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালে ফিলিপাইনের মাগুইন্দানাও গণহত্যায়, যেখানে একটি কনভয়ে অতর্কিত হামলায় নিহতদের মধ্যে ৩২ জন ছিলেন সাংবাদিক।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest