প্রকাশিত: ১২:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দেড় দশকের শাসনামলের পতন ঘটে। তবুও দেশের অভ্যন্তরে দৌরাত্ম্য কমেনি ‘শেখ হাসিনা বাহিনীর’। সারা দেশের ন্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ছিল গোপালগঞ্জে। তবে সেই কর্মসূচিতে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। জানা গেছে, হামলাকারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেছিলেন, এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতাকর্মীদের ঘিরে হামলা চালায়। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসক। এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি বক্তব্য। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার মুখে বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে বলেছিলেন তিনি। কর্মসূচিতে যোগ দিতে নয়াপল্টনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলেও বাধার মুখে তাকে গাড়ি থেকে নেমে ঘরে ফিরতে হয়েছে।
গাড়ি থেকে নেমে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্ষোভ প্রকাশের একপর্যায়ে তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশ কোথায়? গোপালী? গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জের নামই থাকবে না। যারা এসব করছেন, আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে।’
তৎকালীন বিরোধীদলীয় এই নেত্রী বলেন, ‘আপনাদের অফিসার কোথায়? এতক্ষণ তো অনেক কথা বলেছেন….মুখটা বন্ধ কেন এখন? গোপালগঞ্জের জেলার নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জ আর থাকবে না। … ৫৭ জন অফিসারকে হত্যা করল। সেদিন হাসিনা কোথায় ছিল? সেদিন হাসিনার এই ফোর্স কোথায় ছিল? কেন সে পাঠায়নি এই ফোর্সকে। কারণ সে নিজেই জড়িত ছিল এই হত্যাকাণ্ডে।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তার পুরোনো সেই বক্তব্যটির ফটোকার্ড বানিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ট্রল করছেন। তারা বলছেন, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত দূরদর্শী নেত্রী। তাই তিনি অনেক আগেই গোপালগঞ্জের নাম বদলানোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এখন সময় এসেছে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে গোপালগঞ্জের নাম বদলানোর।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার খালেদা জিয়ার সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেছেন লেখক, গবেষক ও এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘এখনই সময়, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা বাস্তবায়নের’।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest