শান্তিগঞ্জে গরমের তীব্রতায় অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত: ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৫

শান্তিগঞ্জে গরমের তীব্রতায় অতিষ্ঠ জনজীবন

মো: উসমান গনি : তীব্র গরম আর রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার মানুষের জনজীবন। জ্যৈষ্ঠে মাসের প্রখর রোদে অতিষ্ঠ হয়ে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। গত কুরবানির ঈদের দিন (৭ জুন) থেকেই এই অবস্থা। সকাল থেকেই প্রখর হয়ে উঠে রোদের তাপ।

 

বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে অসহ্য গরম।

 

মধ্য দুপুরে যেন আগুণের ফুলকি হয়ে ঝরে সূর্য্যের তাপ। রাতেও কমতে চায় না এ তাপমাত্রা। এ অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেক মানুষ।

 

বাজারে হাটে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম । বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

 

সরেজমিন লক্ষ্য করে দেখা যায়, রাস্তা ঘাটে কমেছে পথচারীদের চলাচল। তেমন একটা চলছেনা যানবাহনও।

 

গরম থেকে স্বস্তি পেতে ও তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানি, ঠান্ডা পানীয় গ্রহণ করছেন সব বয়সি মানুষ। পথ চলতে গিয়ে অনেকেই গাছের ছায়ায় একটু বিশ্রাম নিতেও দেখা যায় । গরমে একটু প্রাণ জুড়াতে বিভিন্ন স্থানে পুকুর এবং নদীতে শিশুদের সাঁতার কাটতে দেখা যায়।

 

গরমের তীব্রতায় অতিষ্ঠ জনজীবন

 

তিন দিনের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, সকাল থেকে প্রচণ্ড উত্তাপ নিয়ে সূর্য উঠে। সারাদিন আবহাওয়া গরম থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজে যেতে পারছেন না। কাজে গেলেও গরমের তীব্রতায় ঠিকঠাক মতো নিজের কাজ করতে পারেন না। বারবার হাঁপিয়ে যান। শরীর দুর্বল হয়ে আসে। তাই অনেক মানুষ ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও কাজে যেতে পারছেন না। রাস্তা-ঘাট ফাঁকা, স্বাভাবিক কার্যক্রমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা চরম অস্বস্থিরতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

 

গরমের তীব্রতায় অতিষ্ঠ জনজীবন

একদল শিশু কিশোরের দুরন্তপনা। তারা পানিতে লাফিয়ে পড়ছে আর উঠছে। কেউ কেউ আবার সাঁতার কাটছে। তবে এসব শিশুদের অনেকেই একেবারে উদম গায়ে। কারো মধ্যে লজ্জা বা জড়তা কিছুই নেই। যেন তারা স্বর্গীয় আনন্দে মেতে আছে।

 

উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজার, পাগলাবাজার ও আক্তাপাড়া মিনাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি বাজারেই লোকজনের সংখ্যা একেবারে কম। দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বলতে গেলে একেবারে শূন্যের কোঠায়। পাগলাবাজার এলাকার কান্দিগাঁও জামে মসজিদের সামনে প্রতিদিন অন্তত অর্ধশতাধিক রিকশা যেখানে অপেক্ষমান থাকে যাত্রীসেবায় সেখানে রিকশার সংখ্যা পাঁচ-ছয়টি। প্রচণ্ড গরমের কারণে তারাও ট্রিপে যাচ্ছেন না। অপেক্ষায় আছেন কিছু রোদ কমার। একই অবস্থা দিনমজুরদের বেলায়ও। তারাও চাইলেই বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে পারছেন না।

 

রিকশা চালক রহিম আলী, দিনমজুর লোকমান আলী ও মৎস্যজীবী আবদুল মজিদ বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতিদিন কাজে গেলে কিছু উপার্জন হলে পরিবারের জন্য খরচপাতি করি। ঈদের দিন থেকে প্রচণ্ড গরম হচ্ছে । এই গরমে কাজ করা একেবারে অসাধ্য হয়ে গেছে । শরীর দুর্বল হয়ে যায়। প্রচণ্ড পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ কাজ করতে ইচ্ছা করে না।

 

গরমের এমন তীব্রতায় কিছু দিক নির্দেশনা দিয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ইকবাল হাসান বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষকে অন্যান্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে। রোদে যাওয়া যাবে না। যদি যেতেই হয়, তাহলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। গরমে গরুর মাংস কম খাওয়া উচিত। যাদের শারীরিক সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পানি বেশি বেশি পান করতে হবে। আমরা সাধারণ ২/৩ লিটার পানি পান করি। গরমে ৪/৫ লিটার পানি পান করতে হবে। নিয়মিত প্রস্রাব হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। শরীর বেশি ঘামলে গোসল করতে হবে। বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নিতে হবে। শিশুদের আলাদা যত্ন নিতে হবে।

 

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে সুনামগঞ্জের তাপমাত্রা গতকালের তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত না হওয়ার আগ পর্যন্ত তাপমাত্রা এভাবেই থাকতে পারে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার বাংলা ইংরেজি আরবি

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

Add