প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক : সিলেটে মোটরসাইকেল চোরের শক্ত সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। সিলেট মহানগরী কিংবা এর বাইরে এই চক্রটি বেশ তৎপর। সার্বক্ষণিক তারা তাদের গ্রুপ ও সদস্যদের তদারকি করেন এবং খোঁজখবর রাখেন। বাসা-বাড়ি বা রাস্তার পার্কিংয়ে থেকে চোখের পলকেই উধাও করে নিয়ে যান মোটরসাইকেল।
সময় সুযোগ বুঝে কখনো কখনো সাথে সাথে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো পাচার করা হয় সিলেটের বাইরে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই চুরি করা মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা-বাড়ি কিংবা অজ্ঞাত স্থানে কয়েকদিন লুকিয়ে রাখা হয়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খোঁজা হয় চোরাই বাইকের ক্রেতা। কখনও কখনও বর্ডার ক্রস কিংবা জাল কাগজপত্রাদি তৈরি করে বিক্রি করেন চোরাই মোটরসাইকেলগুলো।
মোটরসাইকেল চুরি ও বিক্রিতে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চোরদের ব্যাপক শক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি এমন একটি সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ। তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে মহানগর পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট মহানগরী কিংবা মহানগরীর বাইরে মোটরসাইকেল চুরির শক্ত সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে এবং সিন্ডিকেট চক্রটি বেশ তৎপর রয়েছে। ওই সিন্ডিকেটের সিলেটের সদস্যরা প্রথমে টার্গেট করে শহরের দামি দামি মোটরসাইকেল। এরপর পিছু নেয় মালিকের। পরে তথ্য দেওয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যদের। এরপর থেকে চুরির জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে চোরাই চক্রের সদস্যরা। মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধির দিকে কড়া নজর রাখতে শুরু করেন সিন্ডিকেটচক্রের সদস্যরা। পরে সুযোগ বুঝেই বাসা-বাড়ি বা রাস্তার পার্কিংয়ে থেকে চোখের পলকেই উধাও করে নিয়ে যান মোটরসাইকেল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চুরি করা মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা-বাড়ি কিংবা অজ্ঞাত স্থানে কয়েকদিন লুকিয়ে রাখা হয়। কোনো কোনো সময় চুরির পর তাৎক্ষনিকভাবে মোটরসাইকেলটি সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
সূত্র জানায়, বেশিরভাগ সময় চুরির কাজটি স্থানীয় চোরেরা করে থাকে। এরপর হাত বদল করে তারা সেটি পাঠিয়ে দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তবে মাঝেমধ্যে সিন্ডিকেটের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যরাও সিলেট এই কাজ করে থাকেন। মাঝে মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চুরি করা মোটরসাইকেল ওই সিন্ডিকেট পাঠিয়ে থাকে সিলেটে। পরে সিলেটের সিন্ডিকেট সদস্যরা চোরাইবাইক সিলেট ও সুনামগঞ্জে বিক্রি করে থাকে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যদের মুল দায়িত্ব থাকে চোরাই মোটরসাইকেল নিরাপদে রেখে বিক্রি করা। সিন্ডিকেটের মূলহোতারা নিজেদের লোকদের দিয়ে ক্রেতা সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকে চোরাই মোটরসাইকেল।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটস্থ বাসা থেকে পোল্যান্ড প্রবাসী নাজমুল ইসলামের ‘ইয়ামাহা এফজেডএস ভি৩’মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন প্রবাসী নাজমুল। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরচক্রটি সনাক্তে মাঠে নামে। পুলিশ সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অবশেষে কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক দীপরাজ ধর প্রিন্সের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে অভিযান চালায়। সেখান থেকে প্রবাসী নাজমুল ইসলামের চুরি হওয়া মোটরসাইকেলসহ মোট ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। আটক করা হয় সিলেট-ব্রাহ্মনবাড়িয়া বাইক চোর সিন্ডিকেটের ৬ সদস্যকে।
চোর সিন্ডিকেটের আটক সদস্যরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চান্দুরা গ্রামের আজিজুল ইসলাম, আবুল কালাম, প্রণয়ন দাস, সাইফুজ্জামান, রেজাউল করিম ও লোটন চৌধুরী। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী এসআই দীপরাজ ধর প্রিন্স জানান, প্রবাসী নাজমুল ইসলামের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারে নেমে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া চোর সিন্ডিকেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এরা সিলেট এসে চুরি করে মোটরসাইকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে যেত। সম্প্রতি ওই সিন্ডিকেট সিলেট থেকে ১০-১৫টি বাইক চুরি করেছে।
সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এডিসি জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এক অভিযানে চোর সিন্ডিকেটের ৬ সদস্যকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই সিন্ডিকেট সিলেট থেকে বাইক চুরি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যেত। পরে সেখানে বিক্রি করতো। ওই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদেরও সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest