প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২২
ক্রীড়া ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। বুধবার (০৯ নভেম্বর, ২০২২) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউ জিল্যান্ড আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৫২ রান করে।
জবাবে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে ভর করে ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে হেইডেনের শিষ্যরা।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নাম লেখালো পাকিস্তান। তাও আবার ১৩ বছর পর। সবশেষ ২০০৯ সালে তারা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল এবং ওই একবারই শিরোপা জিতেছিল। তার আগে ২০০৮ সালে প্রথম আসরেরও ফাইনাল খেলেছিল তারা। যদিও ভারতের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে বাবর ৫৩ ও রিজওয়ান ৫৭ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন। ৩০ রান করা মোহাম্মদ হারিসকে আউট করেন মিচেল স্যান্টনার।
তার আগে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসে ড্যারিল মিচেল ৩৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। আর কেন উইলিয়ামসন করেন ৪৬ রান। বল হাতে পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদি ২টি উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে ১৩ নভেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনালে লড়বে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ১৫২/৪ (ড্যারিল ৫৩*, উইলিয়ামসন ৪৬; শাহীন ২/২৪)।
পাকিস্তান: ১৫৩/৩ (রিজওয়ান ৫৭, বাবর ৫৩; বোল্ট ২/৩৩)।
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী এবং ফাইনালে।
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)।
ফিফটি করে ফিরলেন রিজওয়ান, ২১ রান করলেই ফাইনালে পাকিস্তান:
১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ট্রেন্ট বোল্টের বলে সুইপার কাভার দিয়ে মারতে গিয়ে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৪৩ বলে ৫ চারে ৫৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ১৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩২। জিততে ১৮ বলে ২১ রান প্রয়োজন পাকিস্তানের।
রিজওয়ানের ব্যাটে জয়ের বন্দরের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তান:
বাবর আজম ফিফটি করে ফিরলেও মোহাম্মদ রিজওয়ান শাসন করছেন নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। ইতোমধ্যে রিজওয়ানও তুলে নিয়েছেন ফিফটি। মাত্র ৩৬ বলে ৫টি চারে ফিফটি করেন তিনি। তার অপরাজিত ৫৫ ও মোহাম্মদ হারিসের অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের বন্দরের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তান। ১৬ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তুলেছে পাকিস্তান। জিততে ২৪ বলে ২৬ রান প্রয়োজন তাদের।
ফিফটি করে ফিরলেন বাবর, শতরান পেরিয়ে পাকিস্তান:
নিউ জিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে দারুণ খেলছে পাকিস্তান। বাবর আজম তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। বাবর ও রিজওয়ানের ব্যাটে ভর করে ১২.৩ ওভারেই ১০৫ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। এই রানে অবশ্য আউট হন অধিনায়ক বাবর। তিনি ৪২ বলে ৭টি চারে ৫৩ রান করেন। ট্রেন্ট বোল্টের বলে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর।
অবশ্য প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরতে পারতেন বাবর। বোল্টের করা ওই বলে পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। কিন্তু সেটি মিস করেন ডেভন কনওয়ে। এরপর ৪২ বলে ৫৩ রান করে পাকিস্তানকে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখে সাজঘরে ফিরলেন তিনি।
নতুন ব্যাটসম্যান হারিস রউফ। হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রিজওয়ান। ১৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৯ রান। জিততে ৪২ বলে ৪৪ রান প্রয়োজন তাদের।
বাবর-রিজওয়ানে দুর্দান্ত গতিতে এগোচ্ছে পাকিস্তান:
১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ভর করে দারুণভাবে এগোচ্ছে পাকিস্তান। ১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে তারা তুলে ফেলেছে ৮৭ রান। রিজওয়ান ৪১ ও বাবর ৪৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। জিততে ৬০ বলে ৬৬ রান প্রয়োজন তাদের।
পাওয়ার প্লে-তে ৫৫ রান তুললো পাকিস্তান:
পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৫ রান তুলেছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ২৮ ও বাবর আজম ২৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের এই দারুণ সূচনা তারা দুজন কতোদূর টেনে নিতে পারেন দেখার বিষয়।
বাবর-রিজওয়ানে দারুণ শুরু পাকিস্তানের:
১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছে পাকিস্তান। যদিও ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাবর আজমের উইকেটটি নিতে পারতো নিউ জিল্যান্ড। ট্রেন্ট বোল্টের করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে বাবর ক্যাচ তুলেছিলেন। কিন্তু ডেভন কনওয়ে ক্যাচটি মিস করেন। ৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩৩। রিজওয়ান ১৭ ও বাবর ৭ রানে ব্যাট করছেন।
পাকিস্তানকে ১৫৩ রানের টার্গেট দিলো নিউ জিল্যান্ড:
পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ১৫৩ রানের লক্ষ্য দিলো নিউ জিল্যান্ড। বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ড্যারিল মিচেলের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ১৫২ রান করেছে তারা।
মাত্র ৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। ফিন অ্যালেন চার মারার দুই বল পর হলেন আউট। বড় ধাক্কাই যেন খেলো নিউ জিল্যান্ড।
কিন্তু কেন উইলিয়ামসন ডেভন কনওয়েকে নিয়ে তা সামলানোর দায়িত্ব নেন। একপ্রান্ত থেকে কনওয়ে বেশ আগ্রাসী ছিলেন। তাকেও থামতে হয় রান আউট হয়ে। শাদাব খানের সরাসরি থ্রোতে নন স্ট্রাইক এন্ডে রান আউট তিনি। ২০ বলে ৩ চারে করেন ২১ রান।
পাওয়ার প্লেতে ৩৮ রানে ২ উইকেট হারানো নিউ জিল্যান্ড অষ্টম ওভারে হারায় গ্লেন ফিলিপসকে (৬)। মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরতি ক্যাচ ধরেন।
এরপর উইলিয়ামসন ও মিচেলের দারুণ জুটি। ৫০ বলে ৬৮ রানের এই জুটি ভাঙে নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের আক্ষেপে। ৪২ বলে ৪৬ রানে থাকে থামতে হয় শাহীন শাহ আফ্রিদির কাছে বোল্ড হয়ে।
শেষ দিকে মিচেলের হাফ সেঞ্চুরিতে নিউ জিল্যান্ড দেড়শ ছাড়ায়। ৩২ বলে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ফিফটি করলেন তিনি। ৩৫ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মিচেল। ২২ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের জুটি গড়তে নিশাম করেন ১২ বলে ১৬ রান।
শাদাব খান এই আসরে নিজের সর্বোচ্চ ৩৩ রান দেন চার ওভারে, পাননি কোনও উইকেট। আফ্রিদি সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ২৪ রান দিয়ে।
মিচেলের হাফ সেঞ্চুরি
টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হাফ সেঞ্চুরি করলেন ড্যারিল মিচেল। গত আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সে জিতেছিল নিউ জিল্যান্ড।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯তম ওভারের শেষ বলে দুটি রান নিয়ে ৩২ বলে ফিফটি করেন মিচেল। ক্রিস গেইল (২০০৯ ও ২০১২) ও বিরাট কোহলির (২০১৪ ও ২০১৬) পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হাফ সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১৯ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৪ রান কিউইদের।
উইলিয়ামসনকে ফিফটি করতে দেননি আফ্রিদি
সতর্ক থেকে হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু পারলেন না। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হলেন তিনি। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক ৪২ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ৪৬ রান করেন। ১৬.২ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৪ উইকেটে ১১৭ রান।
৩৮ রানে অপরাজিত ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন জিমি নিশাম।
উইলিয়ামসনের চারে একশতে নিউ জিল্যান্ড
১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরে দলীয় স্কোর ৯৯-তে নেন ড্যারিল মিচেল। পরের ওভারে তৃতীয় বলে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে চার মেরে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর একশ পার করেন কেন উইলিয়ামসন। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ১৫ ওভার ৩ উইকেটে ১০৬ রান তাদের।
আগ্রাসী মিচেল-উইলিয়ামসন
প্রথম ১০ ওভার পাকিস্তানের দাপট। পানি পানের বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
১১তম ওভারে শাদাব খানকে দুটি চার মেরে ১৪ রান তুলতে অবদান রাখেন ড্যারিল মিচেল। পরের ওভারে সিঙ্গেল-ডাবলে ৮ রান যোগ হয়। ১৩তম ওভার মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে শুরু করেন কেন উইলিয়ামসন। পরের বলে নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন জানিয়ে রিভিউ নেয় পাকিস্তান। তবে অনফিল্ড আম্পায়ারের নট আউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এই ওভারে এসেছে ৯ রান।
১৩ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৩ উইকেটে ৯০ রান।
তিনজনকে হারিয়ে ১০ ওভারে ৫৯ রান নিউ জিল্যান্ডের
অর্ধেক ইনিংস শেষে নিউ জিল্যান্ড খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান করেছে তারা। ক্রিজে আছেন কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল।
পঞ্চাশের আগেই তিন উইকেট নেই নিউ জিল্যান্ডের
পঞ্চাশ করার আগেই তিন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হলো। তাতে বিপদ বাড়লো নিউ জিল্যান্ডের।
অষ্টম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নেন মোহাম্মদ নওয়াজ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রথম পাঁচ বলে দেন ৫ রান। শেষ বলে ভুল শটে তারই হাতে ক্যাচ দেন গ্লেন ফিলিপস। ৮ বলে ১ চারে ৬ রান করেন কিউই ব্যাটসম্যান।
৮ ওভারে ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারালো নিউ জিল্যান্ড। ক্রিজে আছেন কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল।
পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের দাপট
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। প্রত্যাশিত শুরু হলো না তাদের। প্রথম ওভারে ফিন অ্যালেন বিদায় নেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফিরে গেলেন ডেভন কনওয়েও। ষষ্ঠ ওভারে মিড অফ থেকে শাদাব খানের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন কিউই ওপেনার। পাওয়ার প্লের শেষ বলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি আউট হলেন ২১ রানে, ২০ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৮ রান।
সতর্ক নিউ জিল্যান্ড
ইনিংসের তৃতীয় বলে ফিন অ্যালেনকে হারিয়ে সতর্ক নিউ জিল্যান্ড। ক্রিজে আছেন কেন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে।
দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহকে দুটি চার মেরে ৮ রান তোলেন কনওয়ে। পরের দুই ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদি ৫ ও হারিস রউফ ৪ রান দেন।
৪ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩ রান।
অ্যালেনকে ফিরিয়ে দারুণ শুরু পাকিস্তানের
প্রথম বলে চার মেরে শুরু। দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে ধরলেন। ফিন অ্যালেন রিভিউ নিলেন, আল্ট্রা এজে ব্যাটে বল লাগতে দেখা গেলো। রিচার্ড কেটেলবোরো অনফিল্ড আম্পায়ার মারাইস এরাসমাসকে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বললেন।
কিন্তু পরের বলে আবারও প্যাডে আঘাত করলো বল, এবার আর রিভিউ নিলেন না অ্যালেন। আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ৩ বলে ৪ রান করে। শাহীন শাহ আফ্রিদি ইনিংসের প্রথম ওভার শেষ করলেন ৬ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে।
পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের অপরিবর্তিত একাদশ
প্রথম সেমিফাইনালের একাদশে কোনও পরিবর্তন আনেনি পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ড। উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই তারা মুখোমুখি হচ্ছে। এই মাঠেই প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০ রান করে জিতেছিল নিউ জিল্যান্ড। তাই টস জিতে আবারও ব্যাটিং করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি তাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
টস শেষে উইলিয়ামসন বলেন, ‘ব্যবহৃত পিচ, ঘাস নেই। একই পিচ, কিন্তু আলাদা এবং পরিবর্তনশীল কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য, এটা শুধুমাত্র এই খেলায় ও কন্ডিশনে মনোনিবেশ করাই কাজ।’
বাবর আজম বলেন, ‘টস আমাদের হাতে নেই। আমরা তাদের ওপর চাপ তৈরি করতে চাই। একই দল। ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডে ভালোমানের খেলোয়াড়রা আছে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা খেলবো।’
নিউ জিল্যান্ড একাদশ: ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে (উইকেটকিপার), কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), গ্লেন ফিলিপস, ড্যারিল মিচেল, জেমস নিশাম, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, ইশ সোধি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট
পাকিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নিউ জিল্যান্ড
শেষ হওয়ার পথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াই। তৃতীয়বার ফাইনালে চোখ রেখে গতবারের রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে পাকিস্তান ছিল খাদের কিনারায়। শেষ তিনটি ম্যাচ জিতে তারা অপ্রত্যাশিতভাবে উঠে গেছে সেমিফাইনালে। যেন ফিরে এসেছে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ স্মৃতি। ওইবার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর ইমরান খানের পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ায় এবং নিউ জিল্যান্ডকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে প্রথম ৫০ ওভারের বিশ্বট্রফি জেতে।
এরপর বিশ্বমঞ্চে আরও দুইবার সেমিফাইনাল খেলে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছে পাকিস্তান। তাই ইতিহাস বাবর আজমদের পক্ষে। তবে টানা দুটি বিশ্ব আসরে ফাইনালে ওঠা নিউ জিল্যান্ডও তাদের ট্রফি খরা কাটাতে উন্মুখ হয়ে আছে।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest