২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২২
শান্তিগঞ্জ(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়ার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন ১১ ইউপি সদস্য। অনাস্থা প্রস্তাব আনয়নের প্রেক্ষিতে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সকল সদস্যরা৷
রোববার(৩০ অক্টোবর) বিকেলে শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে ওই ইউনিয়নের ৩জন নারী ও ৮জন পুরুষ ইউপি সদস্য উপস্থিত হয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে এসময় ইউপি সদস্য সাদেক মিয়া, আনোয়ার হোসেন, আমির আলী, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ছালিক আহমদ, মোঃ রুপন মিয়া, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ ওমর ফারুক, ইউপি সদস্যা কোহিনূর বেগম, মোছাঃ ছুরতুন্নেছা, মোছাঃ রওশন আরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, মাসুক মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ‘চিকারকান্দি আগারবাড়ির রাস্তা হইতে বেড়িবাধের মুখ পর্যন্ত মাটি ভরাট করে রাস্থা নির্মাণ ‘প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করলেও চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া ওই প্রকল্পের সভাপতি কোহিনুর বেগমকে না জানিয়ে বরাদ্দকৃত ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা নিজে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে বিশেষ সহায়তা তহবিলের দরিদ্র মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য দেয়া ৮টি সেলাই মেশিন এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ইউনিসেফ কর্তৃক ১ টি টিউবওয়েল ও ৫টি ল্যাট্রিন বরাদ্দ হলে তা কোথায় দেয়া হয়েছে তাও ইউপি সদস্যদের জানাননি চেয়ারম্যান। শুধু স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা টাকা আত্মসাতই না ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদের কারো সাথে কোন সমন্বয় ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন৷ এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সবসময়ই ইউপি সদস্যদের অবমূল্যায়ন করে আসছেন৷
অনাস্থা প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়, ইউপির মহিলা সদস্যদের সাথে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন, সবসময়ই ক্ষমতার দাপট দেখান। কোন নিয়ম কানুন না মেনে চেয়ারম্যান তার ইচ্ছানুযায়ী পরিষদে আসেন, এতে জনগণ দুর্ভোগে পড়েন৷ তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তিনি দেখে নেবেন বলেও হুমকি দেন৷ তাই বাধ্য হয়ে আমরা পরিষদের সকল সদস্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির রুখে দিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছি।
বক্তব্যে ইউপি সদস্যা কোহিনূর বেগম বলেন, আমি পিআইসসির সভাপতি থাকা সত্ত্বেও আমাকে না জানিয়ে প্রকল্পের সম্পূর্ণ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান। আমি এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের প্রত্যাহার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে৷ আমি কেমন মানুষ আমার ইউনিয়নের মানুষই বলবে। আর প্রকল্পের টাকা আমি তুলে নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা৷
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
