প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সত্যের সৌন্দর্য হলো এটি প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবশেষে জয়ী হয়। যা আমাদের এই বিশ্বাস জোগায় যে, ন্যায় ও সুবিচার শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়। আসুন আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করি, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারও জীবন বা পরিবার ধ্বংস হবে না।
রবিবার বাংলাদেশ সময় ৭টা ২৫ মিনিটে স্যোশাল হ্যান্ডেল এক্স (সাবেক টুইটার) ও ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এই প্রতিক্রিয়া জানান। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পেয়ে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন তিনি।
সেই স্ট্যাটাসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।
ইংরেজিতে দেওয়া তারেক রহমানের স্ট্যাটাসের বাংলা ভাষান্তর হলো, আমরা অঙ্গীকার করছি যে, বহুমতের, বিশ্বাসের ও মতাদর্শের বৈচিত্র্যে বিকশিত গণতন্ত্রের চেতনা ধারণ করব, যা বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাচনী অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ক্ষমতায়িত করবে। এই যাত্রায় আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হব, যা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত করবে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও নিয়মতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলবে।
তারেক রহমানের স্ট্যাটাসের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, আজ বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলাটিতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় অপর ১১ আসামিকে।
পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি আপিল করেন কারাবন্দি আসামিরা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ মামলার আপিল শুনানি বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হয়। এর মধ্যে ওই বেঞ্চ পুনর্গঠন হয়। এ কারণে নতুন বেঞ্চে আবার শুনানি শুরু হয়।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
Design and developed by Web Nest