অনলাইন ডেস্ক : ফেঞ্চুগঞ্জ থানা শাখার আওয়ামীলীগ সভাপতি শওকত আলী ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা বেগমের গভীর ষড়যন্ত্রে কায়স্থগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যমায়ের ৪র্থ শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্র আব্দুল্লাহ বিন কাউসারকে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন আদায়ে অপহরন।

সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ থানার কায়স্থগ্রামের মোঃ খছরুজ্জামান। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি মাইজগাঁওবাজার ‘মায়া টি হাউস’র স্বত্বাধিকারী। তিনি বিত্তশালী ও অনেক সহায় সম্পত্তির মালিক হওয়ায় ঈর্ষা পরায়ন হয়ে তাকে সমাজে আর্থিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কুমতলবে পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে তার আপন সৎ বোন জাহানারা বেগম ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ফেঞ্চুগঞ্জ শাখার সভাপতি শওকত আলীর নেতৃত্বে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিগত ১৭/০৫/২০২২ ইংরেজী তারিখে কায়স্থগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র মোঃ খছরুজ্জামানের পুত্র আব্দুল্লাহ বিন কাউসারকে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে বিকেল আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪টার সময় একটি কালো গাড়ীতে করে তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়।

বিকেল ৫টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ছেলে স্কুল থেকে বাড়ীতে না ফেরার কারণে বাবা-মা উদ্বিগ্ন হয়ে তার খুঁজে প্রথমে স্কুলে যান। কিন্তু স্কুল তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তারা পার্শ্ববর্তী রাস্তা-ঘাটে ও তার সহপাঠী এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে তার খোঁজ না পেয়ে রাত অনুমান ৮টার দিকেও সন্ধান পান নাই। অপহরনকারী সন্ত্রাসী বাহিনী মোঃ খছরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং বলে “মুক্তিপন ৩০ লক্ষ টাকা না দিলে তোর ছেলেকে পৃথিবীতে জীবিত রাখব না, তাকে প্রানে মেরে মাটিতে গর্ত করে পুতে দেব”।

জানা যায় উক্ত অপহরনকারী সন্ত্রাসী বাহির মধ্যে ছিল এবিএম কিবরিয়া ময়নুল, আব্দুল আউয়াল, কয়েছ ও জাহাঙ্গীর এবং তাদের গ্যাং লিডার মোঃ খছরুজ্জামানের সৎ বোন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা বেগম। পরবর্তীতে বিগত ১৯/০৫/২০২২ইংরেজী তারিখে তাদের কথামতো কথিত স্থানে একটি কালো ব্যাগের মধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা রেখে আসার পর একটি কালো কার গাড়ীতে করে পাশের গ্রামের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে যায়।

পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার বিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উক্ত ব্যাপারে এখনোও কোন মামলা ডায়রীভ‚ক্ত হয়নি বলে তিনি জানান ।