সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এসএমপি পলাশ এর সফলতা ও মানবতা

প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এসএমপি পলাশ এর সফলতা ও মানবতা

মো. আবু বক্কর : ট্রাফিক বিভাগে সহকারী পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (উত্তর) এর দায়িত্ব পালন করেন । ন্যায়, নিষ্ঠা, সততার সাথে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন । ট্রাফিক বিভাগে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম পলাশ রঞ্জন দে । ট্রাফিক বিভাগে থাকা কালীন ট্রাফিক সচেতনতা মূলক বিভিন্ন কাজ করে প্রশংসিত হোন সর্ব মহলে ।

 

নগরীর ফুটপাতে অবৈধ দোকান পাট উচ্ছেদ সহ প্রতিটি স্ট্যান্ড এর শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করেন দিন রাত। ট্রাফিক বিভাগে অফিসার ফোর্সদের সুখে দুঃখে ছিলেন এক সাথে । গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং সচেতনা সংক্রান্ত বিভিন্ন সেমিনার করেন। ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য দিনরাত কাজ করে যান । সুনামের সহিত ট্রাফিক উত্তরের দায়িত্ব পালন শেষে বদলি হয় মেট্রোপলিটন পুলিশ এসএমপি, সিলেট এর দক্ষিণ বিভাগে সহকারী পুলিশ কমিশনার মোগলাবাজার থানা হিসেবে ।

 

গত ০৭/০৪/২০১৯ খ্রিঃ তিনি যোগদান করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোগলাবাজার থানা । যোগদান করেই থানার অফিসার ফোর্সদের সাথে ধাপে ধাপে একাধিক বার বসেন । তাদের সুবিধা অসুবিধা শুনেন । থানা এলাকার অপরাধ ও অপরাধীদের ডাটা তৈরি করেন । চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন যেভাবে হোক মোগলাবাজার থানার সাধারণ মানুষকে একটি সুন্দর অপরাধ মুক্ত মোগলাবাজার উপহার দেওয়া । যেই কথা সেই কাজ সকল অফিসারদের কাছ থেকে অপরাধীদের সংক্রান্তে তথ্য নিয়ে নিজে নেমে যান মাঠে ।

পলাশ রঞ্জন দে

সার্ভার ব্যবহার করে নিজের নেতৃত্বে থানার অফিসার ফোর্সদের সাথে নিয়ে একে একে ধৃত করতে থাকেন একাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসী, খুনি, চিন্তাইকারী, ডাকাত সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধীদের । কমে যায় চুরি, চিন্তাই , ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধ । মোগলাবাজার থানা এলাকার সাধারণ মানুষ ফোন, অনলাইন সহ সরাসরি সাক্ষাত করে কৃতজ্ঞা জানান । গত ২০১৯/২০২০ সালে যোগদানের পর এই প্রথম মোগলাবাজার থানা এলাকায় ডাকাতি কমে যায় ।

 

যার একটাই কারণ অপরাধীদের ভয়ের আরেক নাম পলাশ রঞ্জন দে । যোগদানের পর যে কয়েকটা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সাথে সাথে ই নিজেই গ্রেফতার করেছেন তাদের । এই তো কিছু দিন আগে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার করেন মাত্র ২৪ ঘন্টার ভেতর ।

 

কিছু দিন আগে যখন চারদিকে ছেলে ধরা গুজব সৃষ্টি হয় তখন আবারো চ্যালেঞ্জ নেন প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী যেন নিরাপদে স্কুলে যেতে পারে গুজবে প্রতিহত করতে । যেই কথা সেই কাজ মোগলাবাজার থানা এলাকার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য ছুটে চলেন । কখন শিক্ষক কখন শিক্ষার্থী কখন তাদের অভিভাবকদের সাথে সাক্ষাত করেন । সফলতা অর্জন করেন মোগলাবাজার এলাকায় প্রতিটি অভিভাবক, শিক্ষার্থী সচেতন হোন ও যথারীতি ক্লাস করে। বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষকগণ এমন কাজের প্রশংসা করেন ।

 

এবার নতুন চ্যালেঞ্জ সম্প্রতি দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে বসে নেই সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোগলাবাজার থানা জনাব পলাশ রঞ্জন দে । দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ছুটে চলছেন শহর থেকে গ্রামে প্রতিটি অলিগলিতে কখন অসহায় মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে , কখনো সচেতনা বৃদ্ধির জন্য সচেতনা মূলক মাইকিং করছেন প্রতিটি গ্রামে বাজারে ।

 

কখন রাস্তায় চেকপোস্ট করছেন গাড়ি চালকদের মধ্যে সচেতনা তৈরি করার জন্য । একটাই লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করতে হবে করোনার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে । যেই সময় টা নিজের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পাশে থাকার কথা সেই সময়টা তিনি নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন । স্যাল্যুট আপনাকে আপনার মত দায়িত্ব পালন করুক সবাই

পলাশ রঞ্জন দে  বর্তমানে কর্মরত আছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল)