অভিযোগকারীকে থানায় ১৯ ঘণ্টা আটক রেখে ঘুষ দাবির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২৪

অভিযোগকারীকে থানায় ১৯ ঘণ্টা আটক রেখে ঘুষ দাবির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

অনলাইন ডেস্ক : মাধবপুর থানায় অভিযোগ করতে আসায় অভিযোগকারীকে ১৯ ঘণ্টা আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে ওই থানার এসআই শাহ আলমের বিরুদ্ধে। ঘুষের টাকা না পেয়ে জেলহাজতে প্রেরণের অভিযোগ করছেন অভিযোগকারীদের পরিবার।

 

এ ঘটনায় ওই এসআই শাহ আলমের বিরুদ্ধে পুলিশ মহা-পরিদর্শকের কাছে অভিযোগের চিঠি পাঠিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার।।

 

অভিযোগে প্রকাশ মাধবপুর উপজেলার আদাউর ইউনিয়নের সম্পদ পুর গ্রামের সিরাজ মিয়া এর সাথে একই গ্রামের সাবিনা আক্তার এর জায়গা জমি সংক্রান্ত দীর্ঘ দিনের বিরোধ ।

 

গত ১২ ই এপ্রিল পুকুরে মাছ ধরা নিয়া উভয় পক্ষ তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি হলে এক পর্যায় সিরাজ মিয়া মাধবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের জন্য আসে এবং থানার ডিউটি অফিসারের নির্দেশে বেতার অপারেটর আবুল বাসার এর কাছে অভিযোগ লেখা শুরু করে। এমন সময় থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম ভূইয়া কোন কারন ছাড়াই সিরাজ মিয়া সহ তার দু ভাইকে আটক করে নিয়ে যায়।

 

এক পর্যায় ৫০ হাজার টাকা উৎকুচ দাবী করে ১৯ ঘন্টা আটক রেখে উৎকুচের টাকা না পেয়ে ১৫১ দ্বারা তাদের কে জেল হাজতে প্রেরন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী সিরাজ মিয়া ছেলে শাহিন মিয়া জানান, আমার পিতাসহ চাচাদের কে অন্যায় ভাবে আটক করে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

আমি টাকা দিতে পারি নাই বলে তাদের কে জেল হাজতে প্রেরন করেন এবং আমকেও জেল হাজতে ঢুকাবে বলে হুমকি দেয়।

 

‘অবশেষে আমি ৯৯৯ ফোন দিয়া হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সুবিচার পায়নি। তাই বাদ্য হয়ে ১৫ ই এপ্রিল পুলিশের মহা-পরিদর্শক এর কাছে অভিযোগ করেছি । আমি উক্ত পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর এর বিচার ও শাস্তি চাই।’

 

এ ব্যাপারে থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম ভূইয়া কাছে জানতে চাইলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।

 

তবে থানায় ১৯ ঘণ্টা আটক রেখে জেল হাজতে পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন এবং ওসি এ ঘটনার বিষয়ে জানেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসির রাকিবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি জানিনা।’