সিলেটে কাজ দেওয়া কথা বলে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৪

সিলেটে কাজ দেওয়া কথা বলে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক : সিলেটে ভালো কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই মাস আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা ও তার কয়েক সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।

 

এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১১নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সালামকে।

 

শনিবার (৩০ মার্চ) এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুস সালামসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।

 

তরুণীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন-নগরীর লালদীঘিরপাড়ের ৩৬ নম্বর বাসার আবদুস সালাম (৪০), একই এলাকার ২৭ নম্বর বাসার আবদুল মনাফ (৩৮) ও ঘাসিটুলা মতিন মিয়ার কলোনির রেখা বেগম (৩০)।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীকে সিলেট শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে রেখা লালদীঘিরপাড়ের আবদুস সালামের সঙ্গে তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেন। আবদুস সালাম ‘ভালো কাজ’ দেওয়ার প্রলোভন দেখান তরুণীকে। ৭ জানুয়ারি রেখা তরুণীটিকে আবদুস সালামের লালদীঘিরপাড়ের বাসায় নিয়ে যান। পরে বাসার একটি কক্ষে ২২ দিন আটকে রেখে আবদুস সালাম তাকে ধর্ষণ করেন। পরিবারের সদস্যরা তরুণীকে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চাইলে রেখা বাধা দিয়ে তাদেরকে সালামের কাছে নিয়ে যায়। তিনি তরুণীকে উদ্ধারের ব্যাপারে আশ্বাস দেন। কয়েক দিন পর পরিবারের সদস্যরা আবারও তার কাছে গেলে সালাম জানান, লন্ডন প্রবাসী এক পরিবারের কাছ থেকে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তরুণী ঘটনা খুলে বললে সালাম প্রাণনাশের হুমকি ও তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন।

 

এ ঘটনার ৩ দিন পর তিনি বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যান। পরে মামলার আসামি আবদুল মনাফের মাধ্যমে তাকে হবিগঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে তাকে তারা দুজনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন তরুণীটিকে ধর্ষণ করেন। ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে তরুণীকে উদ্ধার করে আনা হয়।

 

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুমন চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

 

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন