প্রকাশিত: ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ পৃষ্ট দিন মজুর ফয়জুর রহমান সহ পরিবারে ৫ সদস্যের জানাযা শেষে নিজ এলাকায় পাশাপাশি পৃথক ৫টি কবরে দাপন শেষ হয়েছে। তাদের এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সেহরির পর ঝড় শুরু হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার বিদ্যুৎ এলে বিকট শব্দে ঘড়ে আগুন লেগে যায়। ঘটনাটি ঘটে ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সেহরির পরে ৪টা ৫০ মিনিটে। মুহুর্থের মধ্যে ঘরের ভেতর ৫টি তাজা প্রাণ পুড়ে মারা যাওয়ার এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানান, পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়াবাড়ি এলাকায় ফয়জুর রহমান পেশায় একজন ঠেলা চালক। এর পাশাপাশি সংসারের টানে তিনি বাড়ির কাছে ইন্তাজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন। পবিবারের ৬ সদস্যসহ ওই টিনের ঘরে বসবাস করতেন তারা। ঘরের উপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজ ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন পাড়ি দেয়। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে ঘরের চালে পরলে আগুন লেগে যায়। মর্মান্তিক মৃত্যু হয় পরিবারের ৫ সদস্যের। গুরুত্বর আহত হয় তাদের এক শিশু।
ঘটনার পর পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশিকান্ত হাজং সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, ষোল বছরের বড় মেয়ে সামিয়া, তের বছরের মেঝ মেয়ে সাবিনা ও আট বছরের ছেলে সায়েম আগুনে পুড়ে ঘরের ভেতর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ছয় বছরের মেয়ে সোনিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রেনে আনে ও ৫ জনের লাশ উদ্ধার এবং ছয় বছরের এক শিশুকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। বিকেল ৪ নিজ এলাকায় নামাজে জানাজা শেষে পাশাপাশি ৫টি কবরে দাপন করা হয়। আপন সন্তান আহত ৬ বছেরের শিশু ছাড়া নিকট আত্মীয় কেউ না থাকলেও এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেননা। তাদের মৃত্যুর পর এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
জুড়ী থানার ওসি তদন্ত হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান নিহতদের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে এলাকাবাসি জানাযা ও দাপন কাপনের ব্যবস্থা নেন।।




অফিস : ৩৭০/৩,কলেজ রোড,আমতলা, আশকোনা,ঢাকা-১২৩০,
Call : 01911120520
Email : info.sylhet24express@gmail.com
প্রধান উপদেষ্টা : আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন
পরিচালক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠাতা, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাপ্তান হোসেন সমাজ কল্যাণ ট্রাস্ট।
উপদেষ্টা সম্পাদক : মো. রেজাউল ওয়াদুদ চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ (বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এনফোর্সমেন্ট কাউন্সিল)
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবু বক্কর তালুকদার
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : নূরুদ্দীন রাসেল
Design and developed by Web Nest