ধর্ষণকাণ্ডে আন্দোলনের মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৪

ধর্ষণকাণ্ডে আন্দোলনের মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ

সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ উল হাসান (বামে) ও অধ্যাপক আলমগীর কবীর

 

অনলাইন ডেস্ক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণকাণ্ডের পর বিভিন্ন ইস্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান। তার স্থলে পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর কবীরকে সাময়িক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

 

সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পদত্যাগ ও নতুন প্রক্টর নিয়োগের বিষয়টি জানা যায়।

 

অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে আজ সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি দয়িত্ব পালনকালে প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।’

 

 

নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, আমার এ পথ চলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।

 

এদিকে আ স ম ফিরোজ উল হাসানের পদত্যাগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

 

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রক্টরের পদত্যাগ প্রমাণ করলো জাবিতে কোনো ধর্ষকের সহায়তাকারীর স্থান নেই। মাহমুদুর রহমান জনির মত বিশ্ববিদ্যালয়কে অপরাধ-রাজ্য গড়ে তোলার কারিগরের অপসারণ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক জীবন দিতে সহায়তা করবে। আমরা তাকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যাতে আগামীতে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কেউ এ রকম দুঃসাহস করতে সামান্যতম সাহসও না দেখায়।

 

প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে হলসংলগ্ন জঙ্গলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত ও সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে, নিপীড়কদের সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রশাসনিক পদ থেকে তাঁদের অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ।