বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড : কফি খেতে গিয়ে প্রাণ গেল কুলাউড়ার আ.লীগ নেতার আতাউর রহমান শামীম মৃত্যু

প্রকাশিত: ১০:০০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৪

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড : কফি খেতে গিয়ে প্রাণ গেল কুলাউড়ার আ.লীগ নেতার আতাউর রহমান শামীম মৃত্যু

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে এ পর্যন্ত ৪৬ জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার এক আওয়ামী লীগ নেতা রয়েছেন। নিহত আতাউর রহমান শামীম কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

 

তিনি বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের ওই বহুতল ভবনে কফি খেতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন বলে জানা গেছে। আতাউর রহমান শামীম সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন।

 

তার ভাগ্নে তারেক হাসান জানান, আতাউর রহমান রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ভবনটিতে কফি খেতে গিয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে সময় অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।

 

ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছঅত্রলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা দপ্তর সম্পাদক ও ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এতে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

জানা গেছে, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি ও পিৎজা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।

 

ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। আটকেপড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়েন। এই অবস্থায় ভবনের তিনতলা এবং সাততলায় আটকেপড়া ব্যক্তিরা উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকেন।

 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেইলি রোডে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে লাগা আগুনে মোট ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

তিনি বলেছিলেন, আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত চলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দ্রুত যেতে বলেছেন। এখানে এসে ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপরদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছেন। যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছেন তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।