সিলেটে আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ কঠোর হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪

সিলেটে আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ কঠোর হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে হোটেল ব্যবসার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মালিক সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশিত নিয়মগুলো যথাযথ অনুসরণ করেন না। এক্ষেত্রে হোটেল মালিকদের গাফিলতি এবং বর্ডারদের অসচেতনতাকে দায়ি করছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা। এছাড়া এসব হোটেলে মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসরসহ বিভিন্ন রকম অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ তো রয়েছেই।

 

জানা গেছে, কিছু কিছু আবাসিক হোটেলের মালিক ও কর্মচারীরা বাড়তি লাভের আশায় হোটেল অভ্যন্তরে দেহ ব্যবসা, প্রতারণামূলক নানা কর্মকাণ্ড, মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসরের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এসব হোটেলে ভাড়া রুম মেলে ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা। আর বিশ্বস্ত বা পরিচিত হলে ভাড়া কম রাখা হয়।

 

নগরীর কদমতলি বাস টার্মিনাল, চাঁদনী ঘাট, লালবাজার, সুরমা মার্কেট এলাকা, তালতলা, রেল স্টেশন এলাকা, ওসমানী মেডিকেল এলাকা, আম্বরখানা এয়ারপোর্ট রেড, দরগাগেট এলাকার অধিকাংশ হোটেলে রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে। কিছু কিছু হোটেলের লাইসেন্স বা অনুমোদনও নেই ।

 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না এই কর্মকাণ্ড। গত পাঁচদিনে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন আসাবিক হোটেল থেকে দেহ ব্যবসার অভিযোগে আটক হয়েছেন ১৮ তরুণ-তরুণী। আটককৃতদের বেশীরভাগ ১৮ থেকে ২৬ বছরের।

 

পুলিশ বলছে, মহানগরীর আবাসিক হোটেলগুলো থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। আটককৃতদের প্রত্যাককে মামলা দায়ের করে আদালতেও প্রেরণ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ সুরমার কদমতলি এলাকার কয়েস আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই তরুণ ও দুই তরুণী আটক করেছে গোয়ান্দা পুলিশের একটি টিম।

 

আটককৃতরা হলেন-মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার সাধনপুর গ্রামের মো. গিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন সাজু (৩১), সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পূর্ব তাজপুর গ্রামের আজেদ আলীর ছেলে মো. নয়ন মিয়া (২৮), একই উপজেলার গোয়ালাবাজার তাজপুর এলাকার রফিক মিয়ার স্ত্রী ঝুমা বেগম (২৭) ও গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার বৈকুন্ঠপুর গ্রামের সুরুষ গুপ্ত’র মেয়ে পপি গুপ্ত (৩০)।

 

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওসমানী হাসপাতাল এলাকার হোটেল বাধন আবাসিক থেকে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে দুই তরুণ ও দুই তরুণীকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমার খাড়ারপাড় গ্রামের শুক্কুর মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া (৩৫), জকিগঞ্জ উপজেলার সোনাসার গ্রামের হিরা মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৯), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার কুরেশপুর গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. উজ্জল আহমদ (২০) ও খুলনা জেলার রুপসা থানার চানমারীবাজার গ্রামের মৃত আরব আলীর মেয়ে ঝর্না বেগম (২০)।

এরআগে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তিতাস অবাসিক হোটেল থেকে ১০ তরুণ-তরুণীকে গ্রেফতার করেছে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইমরান শেখ (১৮), শামসুল মিয়া (২৬), ময়না আহমদ (২৫), আসাদ শেখ (২৪), মোঃ কুটি মিয়া (৪২), সজিব দাস (২৬), রুবেল মিয়া (২২), শারমিন (২৫), পারভিন আক্তার লিজা (২৬), শ্যামলি খাতুন (২৬)।

 

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিলেট24এক্সপ্রেসকে বলেন, অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ইতিমধ্যে নগরীর সবগুলো হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। যাতে কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত না থাকেন। এরপরও বন্ধ না করায় আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। এসব হোটেলের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন