সুরইঘাট বিজিবির হাতে ৪’শ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক

প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৪

সুরইঘাট বিজিবির হাতে ৪’শ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক

কানাইঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের কানাইঘাট সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা কর্তৃক গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের শাহগলি বাজার এলাকা থেকে ট্রাক বোঝাই ৪’শ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক নিয়ে পরস্পর বিরোধী খবর পাওয়া গেছে।

 

সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, তারা ট্রাক বোঝাই ভারতীয় ৪’শ বস্তা চিনি আটক করে ক্যাম্পে রেখেছেন। তবে আটককৃত চিনি ভারতীয় হলেও প্রকাশ্যে নিলামে (অকশন) এ ক্রয় করা হয়েছে বলে কানাইঘাট সাতবাঁক ইউনিয়নের সাতপাড়ি গ্রামের মঈনুল হক মেম্বার জানিয়েছেন। তার অভিযোগ, গত ৫ই জানুয়ারী নিলামে মোগলাবাজার থানা থেকে লতিলাল ১১২ বস্তা, ৪ জানুয়ারী শাহপরান থেকে মাছুম আহমদ ১৩২ বস্তা, জালালাবাদ থানা থেকে পিযুষ কান্তি দে ৬১ বস্তা, ২ জানুয়ারী জৈন্তাপুর থানা থেকে আতাউর রহমান ৩০ বস্তা, ১০ জানুয়ারী কানাইঘাটের সোনারখেওড় বিজিবি ক্যাম্প হতে ফারুক মিয়া ১৩ বস্তা এবং লোভাছড়া বিজিবি ক্যাম্প থেকে আরো ৫৭ বস্তা সহ মোট ৪’শ বস্তা ভারতীয় চিনি নিলামে বিক্রির পর তিনি এফিডেফিটের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার রাতে ৪’শ বস্তা চিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে কানাইঘাটের বাংলা বাজার থেকে ট্রাকে বোঝাই করে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠান। রাত ৮টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার শাহগলি বাজার এলাকা থেকে সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ট্রাকভর্তি চিনি আটকর করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যান। মঈনুল হক মেম্বার অকশনের দাবী করে আরো বলেন, বিজিবি সদস্যরা চিনির বস্তাগুলো আটকের সংবাদ পেয়ে রাতে তিনি সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পে যান। অকশনের চিনির বৈধ কাগজপত্র গতকাল শুক্রবার সকালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাকে বলেন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পে চিনির অকশনের কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার পর সিও স্যারের কাছে কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য মঈনুল হককে তারা বলেন এবং সিও স্যার কাগজপত্র দেখে আটককৃত চিনি ছেড়ে দেয়ার কথা বললে তারা ছেড়ে দিবেন। এরপর মঈনুল হক সিলেটে গিয়েও বিজিবি’র সি.ও স্যারের সাথে দেখা করতে পারেননি, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

 

যার কারনে সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আটককৃত ৪০৫ বস্তা চিনি বর্তমানে তাদের হেফাজতে ক্যাম্পে রেখেছেন। মঈনুল হকের অভিযোগ অকশনের চিনি বৈধভাবে ক্রয় করার পরও তার চিনি আটক করা হয়েছে।

 

এদিকে সুরইঘাট বিজিবি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ট্রাক সহ আটককৃত ৪’শ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনির অকশনের কোন বৈধ কাগজপত্র মঈনুল হক দেখাতে পারেননি। অকশনের যেসব কাগজ তিনি দেখিয়েছেন, তার গড়মিল রয়েছে এবং সঠিকও নয়।