কুলাউড়া বাসীর আস্থা আর ভালো বাসার মানুষ সাদরুল আহমেদ খান

প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৩

কুলাউড়া বাসীর আস্থা আর ভালো বাসার মানুষ সাদরুল আহমেদ খান

 

কুলাউড়ায় উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন স্কোয়াড্রন লীডার(অব) সাদরুল আহমেদ খান

 

 

মো: আবু বক্কর : মোবাইল বার্তায় স্কোয়াড্রন লীডার(অব) সাদরুল আহমেদ খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এলাকার চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নির্বাচনে আমার অংশ নেয়ার চেষ্টা করছি । মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় এলাকায় উন্নয়েনর ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমার অংশ নেয়ার চেষ্টা করছি।

 

তিনি বলেন, স্কোয়াড্রন লীডার (অব) সাদরুল আহমেদ খান, সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-এট-আর্মস জাতীয় সংসদ, সদস্য, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।

 

এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ২৩৬ মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ।  বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কুলাউড়া উপজেলায় উন্নয়নে শরীক হতে এবং বাংলাদেশ বিরোধী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সংসদে যথাসাধ্য ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই এই জাতীয় নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা ।

 

আমি দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের গর্ব সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত থেকে দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছি। আমার সামরিক প্রশিক্ষন ও অভিজ্ঞতা আমাকে আত্মবিশ্বাসী দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলেছে। আমি যেকোন ত্যাগ স্বীকার করে দেশ সেবার দায়িত্ব নিতে সর্বদা প্রস্তুত।

 

আমি প্রায় এক দশক মহান জাতীয় সংসদে ডেপুটি সার্জেন্ট এ্যাট আর্মস হিসেবে প্রেষনে নিয়োজিত ছিলাম। পার্লামেন্টারী প্র্যাকটিস, প্রিভিলেজ এন্ড ডিসিপ্লেন, পার্লামেন্টারী বাজেট, পার্লামেন্ট সেশন, স্টান্ডিং কমিটি, ইন্টার পার্লামেন্টারী এ্যাফেয়ারস, আইন প্রণয়ন কার্যাবলী ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে আমার স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে।

 

দুটি শীর্ষ আন্তর্জাতিক সংসদীয় প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশন’ এ কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার ।বিভিন্ন পার্লামেন্টারী ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপের সাথেও আমি কাজ করেছি । আর একারণেই আমার প্রত্যাশিত মনোনয়নে একজন আইন প্রণেতার কাজ সম্পর্কে আমি সম্পুর্ণ অবগত আছি । আর সেটা পালনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তত রয়েছি ।

 

আমি ২০১৯ সালে চাকুরী থেকে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করে সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান করি, ২০২০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আমাকে অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয় । দলে জায়গা পাওয়াকে সফল করকে আমি কেন্দ্র ও তৃণমূলে একযোগে কাজ শুরু করি । কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে দলীয় ও দেশের বাজেট নিয়ে কাজ করি । আওয়ামী লীগ মখপত্র উত্তরণ ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সমূহে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধা সহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখি । আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান “সিআরআই” তে বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট তইরি করি ।

 

এদিকে তৃণমূলে কাজ করার সময় আমি সব সমইয় এসডিজি এর সাথে সংযুক্ত উদ্যোগ নেই এবং কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়ন ও পোরৌসভায় একযোগে কাজ করি। উপজেলার সকল ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন, নারী ও শিশু সম্মাননা, জনপ্রতিনিধি সম্মাননা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বৃক্ষরোপন, ম্যাডিক্যাল ক্যাম্প, ব্লাড ক্যাম্প, শাক সবজীর বীজ বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, ম্যা্রাথন দৌড়, সাতার প্রতিযোগীতা ইত্যাদি ধারাবাহিক কাজ করি । এছাড়াও, করোনা, বন্যা , সড়ক বা রেল দূ্ঘটনা সব সময় মানুষের পাশে দাড়াই । তিনি আর বলেন, সাদরুল আহমেদ খানের বাবা মরহুম আব্দুল লতিফ খান বঙ্গবন্ধুর একজন একনিষ্ঠ কর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ৭৫ পরবর্তী সেনা শাসনে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন এবং প্রকাশ্যে জনসম্মুখে নির্যাতিত হয়েছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কুলাউড়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

 

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা মানননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আসনে আমাকে মনোনয়ন করলে আমি তারই নির্দেশনার পথে মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় মানুষরে ভাগ্য  উন্নয়নে কাজ করে যাব। সেই সাথে তারুন্যে অহংকার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আমার সাধ্যমত ভুমিকা রাখব। নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আর দলীয় মনোনয়ন একটি গণতান্ত্রিক উৎস । আর এই প্রক্রিয়ায় জড়িত সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

 

কুলাউড়া উপজেলার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন । যা একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও  স্কোয়াড্রন লীডার(অব) সাদরুল আহমেদ খান ।

 

২৩৬ মৌলভীবাজার-২ আসনে জনতার ইশতেহার

 

“ধারাবাহিক উন্নয়ন, বিভেদ নয় বন্ধন”

 

জয় বঙ্গবন্ধু

 

১. দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ক্ষুদামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক ট্রাস্কফোর্স গঠন করে অসহায় মানুষদের তালিকা প্রস্তুত ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিটি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।

 

২. সুস্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে, কমিউনিটি ক্লিনিক এর আধুনিকায়ন করা হবে, হাসপাতাল নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে চলবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।

 

৩. উন্নতমানের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় ল্যব, ডিজিটাল অবকাঠামো স্থাপন, পাঠদানের অনুমোদন, এমপিও ভূক্তকরণ ইত্যাদি ত্বরান্বিত করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিতে যোগ্য ও উৎসাহী লোকদের মনোনয়ন দেয়া হবে, কমিটির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। বেসরকারি উদ্যোগে যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করছেন তাদেরকে প্রনোদনা দেয়া হবে ।

 

৪. ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সামাজিক প্রথা মেনে নারী পুরুষের সমতা আনা হবে। নারী বা যেকোন জন গোষ্ঠীকে পিছিয়ে পড়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে । ৫. চা বাগান, রেল স্টেশন, বাস স্টেশন ও বাজার সমূহে বিশুদ্ধ পানীয় ও মোবাইল টয়লেটের ব্যাবস্থা করা হবে। গভীর নলকূপ স্থাপনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে, এক্ষেত্রে ব্যাক্তি নয় সমষ্টিগত কল্যানকে প্রাধান্য দেয়া হবে।

 

৬ . হাকালুকি হাওরে কৃষিবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট তৈরির পদক্ষেপ নেয়া হবে ।

 

৭. প্রবাসী আয় বাড়ানোর লক্ষমাত্রা নিয়ে কারিগরি শিক্ষায় জনশক্তি রুপান্তর যেমন: কেয়ার গিভার, ড্রাইভিং, হাউস কিপিং, আইটি ইত্যাদি পেশায় জনশক্তি রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনেকে বিদেশে দূর্ঘটনায় পড়েন তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি ও আদায়ের ব্যবস্থা করবো । এনআইডি, পাসপোর্ট, ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে দূনীর্তি দূর করা হবে। প্রবাসী আয় দেশে আনা সহজ করতে পদক্ষেপ নিবো । বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ করা হবে।

 

৮. ভূকশিমইল, ভাটেরা, বরমচাল, ব্রাহ্মণবাজার, কুলাউড়া ও জয়চন্ডী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প। ভূকশিমইল, টিলাগাও, কর্মধা, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন, মনুটিলা চর, হাজিপুর, গগনটিলা, মেরিনা ইত্যাদি এলাকায় পর্যটন শিল্পকে বিস্তার করা হবে। শরীফপুর ইউনিয়নের আমদানি রপ্তানি শিল্প উন্নয়নের উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রয়াস চালানো হবে। আর প্রচলিত চা, বনজ, রাবার শিল্পোকে উৎস- াহিত করা হবে। চাতলাপুর স্থল বন্দর এ দেশীয় ও ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টম্যান আকর্ষণে ব্যবস্থা নেয়া হবে। Trade Expo আয়োজন করা হবে।

 

৯. জাত, ১০. সামাজিক ঐক্য, ন্যায় বিচার ও ভ্রাতৃত্ব গঠনে ক্লাব সমীতি ও সংঘের মাধ্যমে একটি গতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন এর ব্যবস্থা করা হবে। ১১. বিভিন্ন ইউনিয়নের উৎপাদিত শস্য সহজে পরিবহন ও বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকের সার কীটনাশক প্রাপ্তি সহজলভ্য করা

 

. ধর্ম, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই ।

 

হবে। আধুনিক কৃষি পণ্যের আমদানি বাজারজাত ও ব্যবহারে উৎসাহ দেয়া হবে। উপজেলায় লজেস্টিক করিডোর সাপ্লাই চেইন করা হবে । ১২. পরিবেশ বান্ধব অভ্যাস গঠনের জন পদক্ষেপ থাকবে। হাকালুকিকে দূষণ মুক্ত রাখতে হবে। ভূকশিমইল ও ভাটেরা ইউনিয়নে সাব মারসিবল রাস্তাার পরিবর্তে উড়াল সেতু স্থাপন করে জলাবদ্ধতা পরিহার করা হবে। কুলাউড়া, রবির বাজার ও ব্রাহ্মণ বাজারে যানজট নিরসনে উড়াল সড়ক/বাইপাস সড়ক নির্মাণ হবে। বিভিন্ন ইউনিয়নে ইতিমধ্যে চিহ্নিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। রাস্তা উচুকরণ, আর সি সি ঢালাই, ব্রীজ ও রাস্তায় মাটি ভরাট, রাস্তার গাইড ওয়াল, ইট সলিং, পাকা রাস্তা, স্পর্শকাতর স্থাপনার নিরাপত্তা দেয়াল ইত্যাদি। মনু নদীর ভাঙ্গন রোধ ও ফানাই নদী খননের ব্যবস্থা করা হবে।

 

১৩. ভাটেরা, বরমচাল, ভূকশিমইল, কাদিপুর ও জয়চন্ডি ইউনিয়নের জেলেদের নিয়ে একটি মনিটরিং টিম করা হবে। প্রকৃত জেলেরা যাতে জলমহাল ইজারা পায়, নির্ভয়ে মাছ ধরতে পারে এবং সুষ্ক ও প্রজননকালীন সময়ে ভাতা ও উপকরণ পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। small but smart, Alternative income generating এর ব্যবস্থা করব।

 

১৪. বৃক্ষরোপন কার্যক্রম চলবে, Green power, Green Energy, Green Transportation এর উদ্দ্যোগ থাকবে।

 

১৫. সামাজিক বিচার সালিসের জন্য মুরব্বিদের নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে বিবাদ মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হবে। জটিল সমস্যা বা ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তাক্ষেপ করবে।

 

১৬. ব্যাক্তি, সমাজ তথা দেশের উন্নয়নে আলোচনার বিকল্প নেই। সমিতি, ক্লাব, সংগঠন তৈরি ও শক্তিশালী করে সমস্যা সমাধান করা হবে। নিজেদের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে উঠবো। প্রশাসন সাপোর্ট দিবে, প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।

 

১৭. কুলাউলা উপজেলাকে ভৌগলিক অবস্থানভেধে ৪টি অঞ্চল করা হবে। প্রতিটি অঞ্চলে এমপির অফিস থাকবে। প্রতি ৪ মাস পর পর “জনতার দরবার” অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ সরাসরি এমপিকে প্রশ্ন করতে পারবেন।