প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার রাজুতেই আস্থা কুলাউড়াবাসীর

প্রকাশিত: ১২:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার রাজুতেই আস্থা কুলাউড়াবাসীর

 

 

জনপ্রতিনিধি না হয়েও হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন

বিশেষ প্রতিনিধি : মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ পদে দায়িত্বে আছেন। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়। তার পিতা সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রাক্তন সভাপতি মরহুম আব্দুল জব্বার বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি একজন কর্মকর্তা হয়েও কুলাউড়া উপজেলার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। যা একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও এতো উন্নয়ন করা হয়ে উঠেনা। তিনি গত তিন/চার বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। এছাড়া আরও প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব প্রেরণ করেছে। এসব উন্নয়নে ইতিমধ্যে এলাকায়ও তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হয়ে ঊঠেছেন। এখন তাকে উন্নয়নের বরপুত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন উপজেলার জনসাধারণ।

 

বিগত চার বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় এলাকায় কুলাউড়াবাসীর জন্য নিম্নের উপহার গুলো দিয়েছেন। এ সকল উন্নয়নের নেপত্থ্য কাজ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু। মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অনুযায়ী কাজের বিবরণ তুলে ধরা হলো।

 

সেতু বিভাগ থেকে ১১.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফানাই নদীর উপর ব্রীজ নির্মানাধীন। সড়ক পরিবহন ও সহাসড়ক বিভাগ থেকে কুলাউড়া শহরকে যানজট মুক্ত করার জন্য ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে চারলেনে উন্নীতকরণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ। দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা থেকে ১৭টি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ ও ১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২টি ব্রীজ নির্মাণ। ১. মিঠুপুর ও আবুতালিপুর গ্রামের সংযোগ স্থলে গোপালীছড়ার উপর সেতু নির্মাণ ৮৫ লক্ষ ,২৪, হাজার টাকা ২. তিলাশীজুড়া হিঙ্গাজিয়া হাওর মুখী রাস্তায় থামেশ্বর নদীর উপর সেতু নির্মান। ৮৩ লক্ষ ৭০, হাজার টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৯৩টি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৭টি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৭টি রাস্তার অনুমোদন করেছেন, যার কাজ চলমান রয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার প্রকল্পে ২৩.৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলায় ১০৩৪টি গভীর নলকূপ এবং কমিউনিটি নলকূপ স্থাপন বাস্তবায়ানাধিন রয়েছে। কুলাউড়া উপজেলায় গ্রীণ হাউজ গ্যাস নি:সরণ কমানোর লক্ষে সৌর বিদ্যুতায়িত। সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে ৪ কোটি টাকার বারদ্ধ প্রদানের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রযেছে। ৫৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ৭৩.৫০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ। ৭০টি মসজিদ, কবরস্থা, ঈদগাহ, মন্দিরে ৩ লক্ষ টাকা করে মোট ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা প্রদান। এছাড়ও প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।

 

স্বাস্থসেবা বিভাগ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০তলা বিশিষ্ট ভাবন নির্মাণের প্রস্তাব ও ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের প্রস্তাব ও কাজ প্রক্রিয়াধীন এবং ৩৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৪ টি স্বাস্থ্য উপ কেন্দ্র ভবণ নির্মান।

 

আইসিটি বিভাগ থেকে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ নির্মাণে প্রস্তাব প্রেরণ, ২১টি স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, আরও ২৮টি ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ ও কাজ প্রক্রিয়াধীন।

মৎস্য ও প্র্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে কুলাউড়া উপজেলায় মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট স্থাপনের প্রস্তাব ও কাজ প্রক্রিয়াধীন এবং হাওর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রস্তাব প্রেরণ

 

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি মসজিদ, কবরস্থান, ঈদগাহ, মন্দির ও শ্বাশ্মান ঘাটে ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ১৬টি মসজিদ পাঠাগার স্থাপনের জন্য বই ও আলমিরা প্রদান।
হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের জন্য ২৬৮ জনের নাম প্রস্তাব। মন্দির, মঠ, আশ্রম, আখড়া, শ্মশানসহ ২১টি প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের ও পুন;নির্মানের জন্য এবং আর্থিক অনুদানের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ। এছাড়া উপজেলার সনাতন ধর্মালম্বী অসচ্ছল ৭৭ ব্যাক্তিকে আর্থিক অনুদনের জন্য নাম প্রস্তাব ও কাজ প্রকিয়াধীন।

 

বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মারে প্রস্তাব প্রেরণ। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলায় টেকনিক্যাল সেন্টার (ঞঞঈ) স্থাপনের প্রস্তাব ও কাজ প্রক্রিয়াধীন।

 

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ঢুলিপাড়া থেকে ফানাই নদী পর্যন্ত খাল খনন বাস্তবায়নাধিন, মরা গুগালিছড়া খাল খননসহ আরও ৬টি নদী ও খাল খননের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৩টি ভবন/শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের মোট ১৬ কোটি ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠান গুলো হলো ১. বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, ২. আলী আমজাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ৩. গজভাগ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ৪. দিলদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ৫. ছকাপন উচ্চ বিদ্যালয় ৬. উত্তর কুলাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়, ৭. মহতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ৮. টিলাগাঁও আজিজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, ৯. কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়, ১০. হায়দরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ১১. কানিহাটি বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়, ১২. বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, এবং ১৩. দিলদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়।

 

মেরামত ও সংস্কার জন্য ২১টি স্কুল/কলেজ মোট ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১. কুলাউড়া সরকারি কলেজ, ২. ইয়াকুব তাজুর মহিলা কলেজ, ৩. সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ৪. হিংগাজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ৫. মহেতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ৬. মনু মডেল কলেজ, ৭. রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয়, ৮. শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়, ৯. রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ২০ লক্ষ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

২০২১-২২ অর্থ

 

কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ: মেরামত ও সংস্কার ২২-২৩ অর্থ বছর, ৫টি প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি টাকা
ভবন নির্মাণ ২০২০-২০২১ অর্থ বছর ৩টি ভবন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ ২২-২৩ অর্থ বছর ২টি ভবন নির্মাণ ৩ কোটি টাকা এবং কুলাউড়া কারিগরী স্কুল এন্ড কলেজ অনুমোদন করা হয়েছে।

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় : ২০২০-২০২১ অর্থ বছর ভবণ নির্মাণ, ১৬টি বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ। ২০২০-২০২১ অর্থ বছর মেরামত ৬ লক্ষ টাকা ২০২১-২০২২ অর্থ বছর, ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবণ/অতিরক্ত শ্রেণী কক্ষ নির্মাণ, ৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত ২ লক্ষ টাকা করে ১.৬২ কোটি টাকা, ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহৎ মেরামত ৬-৭ লক্ষ টাকা করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা, ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা।

 

২০২০-২০২১ অর্থ বছর,: ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবণ/অতিরক্ত শ্রেণী কক্ষ নির্মাণ, ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত ৮০ লক্ষ টাকা, ৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহৎ মেরামত ৪৯ লক্ষ টাকা, ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ।

 

২০২২-২৩ অর্থ বছর,: ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহৎ মেরামত ৬-৭ লক্ষ টাকা করে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা, ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা, ১১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত ২ লক্ষ টাকা করে ২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, শাখা খোলা, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও এমপিওভুক্তি করা হয়েছে।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ভবন নির্মাণ ২০২০-২১ অর্থ বছর ৫টি প্রতিষ্ঠানে ৫ কোটি টাকা। ভবন নির্মাণ ২০২১-২২ অর্থ বছর ২টি প্রতিষ্ঠানে ৩ কোটি টাকা। ভবন নির্মাণ ২০২২-২৩ অর্থ বছর ৪টি প্রতিষ্ঠানে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। মেরামত ও সংস্কার জন্য (২০১৯-২০ অর্থ বছর) ৮টি প্রতিষ্ঠান ৮০ লক্ষ টাকা। মেরামত ও সংস্কার জন্য (২০২২-২৩ অর্থ বছর) ৯টি প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। উর্দ্বমুখী সম্প্রসারণ (২০১৯-২০ অর্থ বছর) ১ কোটি ৬০ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। ভবন মেরামত (২০২১-২২ অর্থ বছর) ৫টি প্রতিষ্ঠানে ৭৫ লক্ষ টাকা। আসবাবপত্র প্রস্তুত ও সরবরাহ, ২৪টি প্রতিষ্ঠানে ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

গুণ গত মান যার ভাল তার দাম একটু বেশি সিলেটের সেরা বাগানের উন্নত চা প্রতি কেজি চা দাম ৪৫০ টাকা হোম ডেলি বারি দেয়া হয়

tree

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন

কম খরচে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন